Ticker

6/recent/ticker-posts

Ads

কি ধরনের নিশ / টপিক নিয়ে ব্লগ তৈরি করবেন | জনপ্রিয় ব্লগিং নিশ আইডিয়া 2022

কি ধরনের নিশ / টপিক নিয়ে ব্লগ তৈরি করবেন | জনপ্রিয় ব্লগিং নিশ আইডিয়া 2021

ব্লগ নিশ কি? (what is blog niche in bangla) 

নিশ এর অর্থ হল বিষয় বা টপিক। ব্লগারে আপনি যে বিষয়ের উপর নিয়মিত লিখবেন সেটাই আপনার নিশ। যেকোনো ব্লগ শুরু করার আগে কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনি ব্লগে পোষ্ট লিখবেন সেটা সঠিকভাবে নির্বাচন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ


বেশিরভাগ নতুন ব্লগারদের দেখা যায় গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম এর আশায় তাড়াহুড়ো করে যে কোন একটা বিষয় ব্লগে পোষ্ট লিখতে শুরু করেন। কিন্তু যে বিষয়ে পোষ্ট লিখেছেন ওই বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ না থাকার কারণে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই ব্লগে পোস্ট লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে


এছাড়া সঠিক নিস বা টপিক নির্বাচন না করে তাড়াহুড়ো ভাবে পোস্ট লেখার কারণে দেখা যায় যে টপিকে পোস্ট লিখছি ওই টপিকের ভিজিটর আসছে না। কারণ আপনার ইচ্ছামত পোস্ট লিখলে ভিজিটর কখনও হবেনা।


এইজন্য ব্লগ তৈরি করার প্রথম এই নির্বাচন করতে হবে, কোন টপিকে পোস্ট লিখলে ভিজিটর বেশি পাওয়া যাবে এবং বেশি ইনকাম করা যাবে। যদি আপনি সঠিক নিস বা টপিক নির্বাচন না করে পোস্ট লিখতে থাকেন তাহলে আপনার সময় এবং শ্রম দুটোই বৃথা যাবে। ফলে ইনকাম করতে পারবেন না এবং কিছুদিন পরে নিজেই ভাবতে থাকবেন ব্লক থেকে কখনো ইনকাম করা যায় না। 

তাই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে অবশ্যই সঠিক নিস নির্বাচন করতে হবে। সঠিক নিস নির্বাচন করলে দ্রুত ওয়েবসাইট ভালো রেঙ্ক এবং ইনকাম করা যায়।

ব্লগ নিশ দুই ধরনের হয়ে থাকে:

  1. মাল্টি নিশ ব্লগ বা নিশ ব্লগ
  2. মাইক্রো নিশ ব্লগ

মাল্টি ব্লগ নিশ ব্লগ কী (what is multi niche blog in bangla)?

মাল্টি নিস বা নিস ব্লগ হলো একটি সাইটে অনেকগুলো কি ওয়ার্ড ফোকাস করে আর্টিকেল লেখা হয়। অনেক ওয়েবসাইটে দেখবেন বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট পাবলিশ করছে। 
যেমনঃ অনলাইন ইনকাম এর উপর পোস্ট করছে , আবার কোনো কোনো সময় এডুকেশন রিলেটেড পোস্ট করছে, আবার কখনও কখনও বিভিন্ন গ্যাজেট রিভিউ করছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

অর্থাৎ যে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন টপিকে পোস্ট পাবলিশ করা হয় তাকে মাল্টি নিস বা নিস ব্লগ বলে।

মাইক্রো ব্লগ নিশ কী (what is micro niche blog in bangla)?

মাইক্রো নিস ব্লক সাইট হল যে সাইটে একটি নির্দিষ্ট টপিক বা কিওয়ার্ড প্রকাশ করে পোস্ট পাবলিশ
 করা হয়। অনেক ওয়েবসাইট দেখবেন শুধুমাত্র একটা টপিকের উপর পোস্ট পাবলিশ করে। যেমন কোন ওয়েবসাইটে দেখবেন হেলথ রিলেটেড পোস্ট করছে। ওই ওয়েবসাইটে হেলথ রিলেটেড পোস্ট ছাড়া আর কোন পোস্ট করেনা। একটি নির্দিষ্ট টপিক বা নিস বা কিওয়ার্ড ফোকাস করে যে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় তাকে মাইক্রো নিস ব্লগ বলে।

মাল্টি নিশ ব্লগিং VS মাইক্রো নিশ ব্লগিং

এতক্ষণে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ব্লগার নিস 2 ধরনের। মাল্টি নিস এবং মাইক্রো নিস। এখন আপনারা ভাবতে পারেন তাহলে আমি কি ধরনের নিস নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করব। 

সত্যি কথা বলতে মাল্টি নিস ব্লগ ওয়েবসাইট এর থেকে মাইক্রো নিস ব্লগ ওয়েবসাইট কে গুগোল বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং ভিজিটর মাল্টি নিস ব্লগ ওয়েবসাইট এর থেকে মাইক্রো নিস ব্লগ ওয়েবসাইট বেশি পছন্দ করে। 

ফলে মাইক্রো নিস ব্লগ ওয়েবসাইট খুব দ্রুত গুগলে রেঙ্ক করে, ভিজিটর ও বৃদ্ধি পায় সেইসাথে ইনকাম বেশি হয়।

কেন ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে নিস বাছাই করবেন ?

আপনি নিজেই ভেবে দেখুন আপনি ব্লগিং রিলেটেড কোন বিষয় নিয়ে গুগলের সার্চ করলেন অনেকগুলো ওয়েবসাইট সেখানে দেখতে পাবেন। 

একটা ওয়েবসাইটে দেখলেন বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট রয়েছে তার মধ্যে ব্লগিং রিলেটেড পোস্ট করেছে। তাহলে বুঝতে পারলেন এটা মাল্টি নিস ব্লগ ওয়েবসাইট। 

আর একটি ওয়েবসাইটে আপনি পেয়ে গেলেন যেখানে শুধুমাত্র ব্লগ রিলেটেড রয়েছে। আগে যে মাল্টি নিস ব্লগ ওয়েবসাইটে ব্লগ রিলেটেড পোস্ট করেছেন ওই পোস্ট ও আপনার ভালো লেগেছে এবং পরে যে মাইক্রো নিস ব্লগ ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র রিলেটেড পোস্ট পড়লেন এটাও ভালো লেগেছে। 

এখন আপনি কোন ওয়েবসাইট টি বেশি ভিজিট করবেন? যেখানে শুধুমাত্র ব্লগিং রিলেটেড পোস্ট করা হয় এই ওয়েবসাইট, নাকি যেখানে অনেক ধরনের পোস্ট এর মাঝে মাঝে ব্লগ রিলেটেড পোস্ট করে এই ওয়েবসাইট।

আমার মনে হয় নিশ্চয়ই আপনি যে টপি খুঁজছেন শুধুমাত্র ওই টপিক নিয়ে যে ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হবে নিশ্চয়ই ওই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। এজন্য আমি সাজেস্ট করবো অবশ্যই একটি মাইক্রো নিস ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন যেখানে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট টপিক বা কিওয়ার্ড এর উপর পোষ্ট পাবলিশ করবেন।

একটি নিস বাছাই করার আগে তিনটি বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

কম্পিটিশন (Niche For Competition)

আপনি যে নিস বা টপিক নিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন ভাবছেন, ওই টপিক বা নিস এর কম্পেটিশন কেমন রয়েছে এটা অবশ্যই জানা দরকার। আপনি এমন একটা টপিকে ওয়েবসাইট তৈরী করলেন যে টপিকের উপর অলরেডি গুগোল প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে। 
তাহলে আপনার ওয়েবসাইট গুগোল এর রেংক কলাতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে এবং অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

তাই অবশ্যই টপিক বা নিস বেছে নেওয়ার আগে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে ওই কিওয়ার্ডের কম্পিটিশন লো এবং সার্চ ভলিউম বেশি দেখে নিস নির্বাচন করতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য সরাসরি গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার ব্যবহার করতে পারেন।

ভিজিটর (Niche For Audience)

আপনার হয়তো জেনে থাকবেন একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ বলা হয় ভিজিটরকে। আপনার ওয়েবসাইট দেখতে যত সুন্দর হোক না কেন ওয়েবসাইটে পোস্ট গুলো যতই ভালো করে লেখেন না কেন যদি ভিজিটর না থাকে তাহলে আপনার ওই ওয়েবসাইটের কোনো মূল্য থাকবে না।

একটা সময় দেখবেন আপনার ব্লগিং করার ইচ্ছাটাই হারিয়ে যাবে। কারণ আপনি এত কষ্ট করছেন কিন্তু তার ফল কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। 

এইজন্য ব্লগিং করার পূর্বে অবশ্যই রিচার্জ করে নিতে হবে যে টপিকে আপনি ব্লগিং করবেন ভাবছেন ওই টপিকে ভিজিটর কেমন হবে। অর্থাৎ আপনার ইচ্ছামত ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখলে ওই পোস্টে কেমন ভিউজ আসবেনা।

তাই রিসার্চ করে জানতে হবে ভিজিটর কি টপিকের উপর সার্চ করছে বা ভিজিটর কি টপিকে বেশি বেশি জানতে চাই। ভিজিটর এর কথা মাথায় রেখে ওয়েবসাইটের টপিক বা নিস নির্বাচন করতে হবে তাহলে খুব দ্রুত ভালো রেসপন্স পাওয়া যাবে।

ইনকাম (Niche For Income)

আমরা যতই কষ্ট করি না কেন সেখান থেকে ইনকাম অবশ্যই আশা করে থাকি। কিন্তু আপনি এত কষ্ট করছেন সেখান থেকে যদি কোনো ইনকাম করতে না পারেন তাহলে আমার মনে হয় না কেউ ইনকাম ছাড়া কাজ করতে চাইবে। 

ঠিক তেমনি ইচ্ছামত একটা টপিকে ব্লগিং শুরু করলে সেখান থেকে খুব ভালো ইনকাম আশা করা যায় না।

একটু রিসার্চ করলে জানতে পারবেন কোন কোন ওয়েবসাইটে 10 হাজার ভিজিটর থেকে 100 ডলার ইনকাম হয়। আবার কোন কোন ওয়েবসাইটে ওই দশ হাজার ভিজিটর থেকে মাত্র 40 বা 50 ডলার ইনকাম হয়।

তাহলে বুঝতেই পারলেন ভিজিটর একই কিন্তু ইনকাম কম বেশি। এটার কারণ হলো অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভ হওয়ার পর গুগোল আমাদের ওয়েবসাইটের টপিকের উপর ভিত্তি করে ওই টপিক রিলেটেড অ্যাড শো করায়। ফলে অ্যাডগুলোতে বেশি বেশি ক্লিক পড়ে এবং ইনকাম হয়।

তাই যারা অ্যাডগুলো প্রোভাইড করে থাকে ওই এড কোম্পানি কিছু কিছু টপিক রিলেটেড অ্যাডগুলোতে বেশি টাকা দেয় আবার কিছু কিছু অ্যাডগুলোতে কম টাকা দেয়। আপনি হয়তো এডসেন্স একাউন্টে খেয়াল করেছেন সিপিসি একটা অপশন থাকে। 

সি পি সি এর পূর্ণরূপ হলো কস্ট পার ক্লিক। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে যে অ্যাডগুলো শো করবে ওই অ্যাডগুলোতে প্রতি ক্লিকে গুগোল কত সেন্ট বা ডলার প্রদান করছে। এইজন্য দেখবেন বেশি সিপিসি হলে ইনকাম বেশি হয় আবার কম সিপিসি হলে ইনকাম কম হয়। 

তাই টপিক বা নিস নির্বাচন করার পূর্বে রে সার্চ করে দেখে নিতে হবে কোন টপিকে সিপিসি বেশি থাকে। আর এইটা চেক করার জন্য অবশ্যইআপনার টপিকের উপর কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে যেটা গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার এর মাধ্যমে করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করবেন?

গুগল সার্চ (Google search)

এতক্ষণে হয়তো আপনারা জেনে গেছেন ব্লগারের জন্য নিস বা টপিক নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে নিস নির্বাচন করতে হবে। এখন আপনি কি করে বুঝবেন কোন টপিকে ভিজিটর বেশি সার্চ করে ?
এইটা জানার জন্য আমাদের গুগল মামা রয়েছে। আপনি যে টপিক নিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন ভাবছেন , ওই টপিক লিখে গুগলে সার্চ করেন। দেখবেন ওই টপিকের উপর ভিত্তি করে আরো অনেকগুলো সার্চ রেজাল্ট গুগল মামা আপনাকে দেখাবে যেটা নিয়ে ভিজিটর বেশি বেশি সার্চ করছে। এইখান থেকেই আপনি সহজে নিস বা টপিক আইডিয়া পেয়ে যাবেন।

অ্যামাজন ওয়েবসাইট ( Find Amazon )

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে চান, তাহলে আপনি সরাসরি অ্যামাজন ওয়েব সাইটে যে সকল প্রোডাক্ট বেশি সেল হচ্ছে ঐ সকল প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে রিসার্চ করতে পারেন। তারপর ওইখান থেকে যেকোন একটা প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। সব থেকে মজার ব্যাপার হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইটে দুইভাবে ইনকাম হয়। 
  • প্রথমত অ্যাফিলিয়েট থেকে ইনকাম 
  • দ্বিতীয়: ওই একই সাইটে এডসেন্স থেকে ইনকাম
তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রচুর রিচার্জ এবং কষ্ট করতে হবে। 

ইয়াহু উত্তর (Yahoo Answer)

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন গুগলের মত yahoo.com একটা সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এই yahoo.com এর মাধ্যমে আপনি আপনার কিওয়ার্ড সার্চ করে নিস এর আইডিয়া নিতে পারেন।

প্রশ্ন উত্তর ওয়েবসাইট (QnA Website)

আমার কাছে মনে হয় নিস বা টপিক এবং পোস্ট লেখা আইডিয়া নেওয়ার জন্য সবথেকে ভালো হলো প্রশ্ন উতর ওয়েবসাইট । কারণ প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইটে এসে সকলে তাদের সমস্যাগুলো জিজ্ঞাসা করে। তাই এইখান থেকে যে টপিকে লোকজন বেশি সমস্যায় পড়ছে বা জানতে চায়, এমন একটা নিস নির্বাচন করে ব্লগে পোষ্ট লিখে প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইটে শেয়ার করলে খুব দ্রুত ওয়েবসাইটের লিং এবং বেশি বেশি ভিজিটর পাওয়া যায় । 

সেরা ১৭টি লাভজনক ব্লগিং বিষয় – জনপ্রিয় ব্লগ নিস / টপিক লিস্ট


১.  অনলাইন আর্নিং ব্লগ নিশ


বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ চাকরির অভাবে অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে। তাই আপনি অনলাইন আর্নিং রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট ওপেন করতে পারেন। যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় তার সঠিক পদ্ধতি দেখাতে পারেন। তবে আপনি শুধুমাত্র ইনকামের জন্য যদি ভুল কিছু শেয়ার করেন তাহলে বেশি দিন ব্লগিং করতে পারবেন না।  তাই সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে পদ্ধতি গুলো দেখাবেন। এতে আপনার লংটাইম ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

২. টেকনোলজি নিশ ব্লগ

বর্তমানে আমরা সবাই টেকনোলজির উপর বেশি নির্ভরশীল । তাই টেকনোলজি রিলেটেড ওয়েবসাইট দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এজন্য আপনি চাইলে টেকনোলজি রিলেটেড একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। 

৩. নিউজ

বর্তমানে আমরা মোবাইলের উপর খুব বেশি নির্ভরশীল। তাই যে কোন নিউজ বা খবর জানতে হলে অবশ্যই মোবাইল থেকে দেখার চেষ্টা করি। তাই আপনি চাইলে একটি নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তবে নিউজ ওয়েবসাইট এ রেগুলার পোস্ট করার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি আজকে একটা দশ দিন পরে আরেকটা পোস্ট করেন তাহলে নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি করে ভালো কিছু করতে পারবেন না।

আর নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি করলে সব সময় আপনাকে ট্রেন্ডিং নিউজ গুলো নিয়ে পোস্ট লিখতে হবে তাহলে বেশি বেশি ভিজিটর আপনি পেয়ে যাবেন।

৪. EDUCATION & Learning ব্লগ Niche

বর্তমানের লেখাপড়া সবি অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে। এখন পরীক্ষা এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে হয়। বাড়ি থেকে লিখে স্কুলের জমা দিলে পরীক্ষা দেওয়া হয়ে যায়। 

তাই আপনি এই সময় যদি একটি অনলাইন এডুকেশন রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং সেখানে সকল শ্রেণীর প্রশ্ন রিলেটেড পোস্ট করতে থাকেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভালো কিছু পাবেন। তাই বর্তমান সময়ে এডুকেশন এবং লার্নিং রিলেটেড ওয়েবসাইট খুবই জনপ্রিয় একটি টপিক।

৫. ব্লগিং নিস ( Blogging Niche )

বর্তমানে ব্লগ সাইট তৈরি করে অনেকেই ইনকাম করতে চাইছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাদের কোনো ধারনাই নেই। এজন্য অনেকেই সার্চ করে কিনিস নিয়ে ব্লগ সাইট তৈরি করবে কোন টপিকে ব্লগ সাইট তৈরি করলে বেশি সাফল্য পাওয়া যাবে কোন টপিকে ওয়েবসাইট তৈরি করলে বেশি ইনকাম করা যাবে ইত্যাদি বিষয়ে প্রচুর সার্চ করে।

এইজন্য আপনি যদি ব্লগং নিস রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং বিভিন্ন নিস আইডিয়া নিয়ে পোস্ট করতে থাকেন তাহলে খুব ভালো সাফল্য পেতে পারেন ।

৬. স্বাস্থ্য ও ফিটনেস - ব্লগ লাভজনক নিশ

বর্তমানে স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা একটু বেশিই সচেতন। তাই এটা একটা জনপ্রিয় ব্লগ হয়ে উঠেছে। আপনি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও ফিটনেস এর জন্য সুন্দর সুন্দর টপিকে পোস্ট লিখেন তাহলে অনেক দূরত্ব বেশি বেশি ভিজিটর পাবেন। তবে এখানে একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তা হল, যে পোস্ট গুলো করবেন অবশ্যই কার্যকারী হতে হবে তা না হলে আপনি অর্গানিক ভিজিটর হারাবেন।

৭. রিভিউ ওয়েবসাইট - ব্লগ টপিক 

বর্তমানে রিভিউ ওয়েবসাইট খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেসকল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন গেজেট রিভিউ করা হয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য সেই সাথে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয়। অর্থাৎ আপনি যদি একটি রিভিউ ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে পারেন তাহলে বিভিন্নভাবে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

যেমন রয়েছে:-

স্মার্টফোন রিভিউ:

বর্তমানে আপনি যদি একটি ফোন কিনতে চান, তাহলে অনলাইনে সার্চ করে বিভিন্ন ফোন এর ফিচারগুলো দেখেন। অনলাইন থেকেই পছন্দ করে চাইলে অনলাইনে অর্ডার করেন না হলে সরাসরি দোকান থেকে কিনেন।

তাই আপনি নতুন নতুন স্মার্টফোন এর রিভিউ অর্থাৎ ফুল ফিচার নিয়ে পোস্ট করতে পারেন। 

ল্যাপটপ রিভিউ:

স্মার্টফোনের মতো আপনি নতুন নতুন ল্যাপটপ এর রিভিউ করতে পারেনি সেই সাথে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কিভাবে ইনকাম করতে পারেন।

গ্যাজেট রিভিউ:

অনেক গ্যাজেট রয়েছে যেমন হেডফোন মাইক্রোফোন ইত্যাদি। আপনি এই সকল গ্যাজেট রিভিউ করতে পারেন। রিভিউ বলতে মনে করেন আপনি হেডফোন নিয়ে রিভিউ করলেন এই হেডফোনের দাম কত কোথায় পাওয়া যাবে কি কি ফিচার রয়েছে বিস্তারিতভাবে আপনি শেয়ার করবেন। এসবের অনেক চাহিদা বর্তমানে রয়েছে।

মুভি রিভিউ: 

ইন্টারটেইনমেন্ট সবাই পছন্দ করে। তার জন্য অনেকেই মুভি প্রেমী রয়েছে যা মুভি দেখতে পছন্দ করে। এই জন্য তাদের ব্যবহার করে আমি একটি ওয়েবসাইট খুব দ্রুত ভালো পজিশনে নিয়ে আসতে পারেন।

আপনি শুধুমাত্র নতুন নতুন মুভি গুলোর বিস্তারিত আলোচনা করবেন কিন্তু ভুল করেও এই মুভিটার কোন ডাউনলোড লিংক বা কি করে ডাউনলোড করবেন এই সব ব্যবহার করবেন না তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভে নাও হতে পারে।

শুধুমাত্র রিভিউ করবেন অর্থাৎ অভিনেতা কে কে রয়েছে প্রডিউসার কে কে রয়েছে কত খরচ হয়েছে কতদিন শুটিং হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

৮. প্রশ্ন উত্তর ( Question Answer )

অনেকে আছে দেখা যাচ্ছে নতুন ব্লগিং শুরু করেছেন কিন্তু কি টপিকে পোস্ট লেখবেন এইটা বুঝতে পারেন না। অথবা বিভিন্ন ছোট খাটো সমস্যার উত্তর খুঁজে পান না তারা এমন একটা প্লাটফর্ম খোঁজে যেখানে তাদের ছোট ছোট প্রশ্নগুলো করতে পারে এবং উত্তর পাবে।

এজন্য দেখবেন প্রশ্ন-উত্তর অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে প্রচুর ভিজিটর হয়। এ সকল প্রশ্ন উত্তর ওয়েবসাইটে এসেছে কেউ তাদের প্রশ্নগুলো করে এবং বিভিন্ন লোকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে থাকে।

যেমন quara.com রয়েছে খুবই জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে ইংরেজি বাংলা সকল বিষয়ে প্রশ্ন করা যায় এবং উত্তর পাওয়া যায়।

তাই আপনি একটি প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যেখানে অল্প পরিশ্রম করে অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব।

৯. লাইফ স্টাইল - ব্লগ niche

আপনারা হয়ত বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল দেখবেন যেখানে বিভিন্ন স্টারদের লাইফ স্টাইল নিয়ে ভিডিও রয়েছে। এইসকল চ্যানেলগুলো বিভিন্ন পাবলিক ফিগার দের লাইফস্টাইল নিয়ে ভিডিও তৈরি করে এবং খুব ভালো রেসপন্স ও পেয়ে থাকে।

তাই আপনি চাইলে একটি লাইফস্টাইল বোর্ড ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে বিভিন্ন পাবলিক ফিগার নিয়ে লেখালেখি করবেন। যেহেতু ঐ সকল পাবলিক ফিগার অলরেডি জনপ্রিয় তাই আপনার ওয়েব সাইট এর রেংক করাতে তেমন একটা কষ্ট করতে হবেনা।

১০. শিশু পরিচর্যা ভিত্তিক - ব্লগ সাইট

বেবি কেয়ার ইংরেজিতে জনপ্রিয় ব্লগ নিস। এই টপিকের উপর প্রচুর ইংরেজি ওয়েবসাইট রয়েছে কারণ আপনারা হয়ত জেনে থাকবেন বিদেশীরা বাচ্চাদের যত্নের ব্যাপারে একটু বেশি সচেতন। ‌ তবে শিশু পরিচর্যা বিষয়ক বাংলা ব্লগ সাইট খুবই কম রয়েছে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে বাঙালিরা ও শিশু পরিচর্যার দিকে অনেক বেশি কেয়ারিং হয়ে উঠেছে । তাই আপনি যদি শিশু পরিচর্যা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে শিশুর পরিচর্যা বিষয়ক সুন্দর সুন্দর পোস্ট পাবলিশ করেন যেগুলো অনেক প্রয়োজনীয় তাহলে অল্প সময়ে আপনি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে পারবেন।

১১. মোটিভেশন - ব্লগ নিশ

যান্ত্রিক জীবনে আমরা খুব অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ি। ব্যর্থতা গুলো আমাদের চেপে ধরে রাখে। মোটিভেশন দিয়ে আমাদের আবারো ঘুরে দাড়াতে আপনি হেল্প করতে পারেন একটি মোটিভেশনাল ব্লগিং এর মাধ্যমে। মোটিভেশনাল মাইক্রো নিশ ব্লগ বাংলায় তেমন নেই।

সুতরাং আপনার জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র প্রচারের অপেক্ষা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করুন এবং অন্যান্য ফোরাম ব্যবহার করে জানিয়ে দিন। গেস্ট ব্লগিং করেও আপনার সাইট সম্পর্কে জানাতে পারবেন।

১২.  সেলিব্রেটি গসিপ নিস ব্লগ

বর্তমান সময়ে সেলিব্রেটিদের নানা কর্মকাণ্ডের খবর আপনার চোখে পড়লে আপনি এড়িয়ে যান না মনে হয়। যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন একবার হলেও চোখ বুলিয়ে নেন । 

১৩.  স্পোর্টস - জনপ্রিয় ব্লগ তৈরির বিষয়

যারা খেলাধুলা পছন্দ করেন তারা এই নিস এর উপর লেখালেখি শুরু করতে পারেন। পৃথিবীতে সব সময় ইন্টারন্যাশনাল কোন না কোন খেলা হতেই থাকে। তাই এই সকল খেলাধুলার আপডেট নিয়ে আপনি নিত্যনতুন কনটেন্ট পাবলিশ করতে পারেন। আর এই সকল কনটেন্ট এ ভিজিটর ও ভালো পাওয়া যায়। 

এটা এমন এক ব্লগিং বিষয় যেখানে ট্রাফিকের কোন ক্যাটাগরি নেই সকল শ্রেণীর মানুষ হই খেলাধুলা নিয়ে উৎসাহী।

১৪. ব্লগিং নিশ - বিউটি টিপস

মানুষ মাত্রই সৌন্দর্যপ্রিয় নিজেকে সুন্দর দেখাতে সবাই পছন্দ করে বিশেষ করে মেয়েরা সৌন্দর্য ধরে রাখতে কতকছুই না
 চেষ্টা করি আমরা আপনার এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকলে বিউটি টিপস ও রূপচর্চা সংক্রান্ত ব্লগিং ত্বক চুল নর্মাল গলোলিং ড্রাই স্কিন অয়েলি পিম্পল ব্রণ ইত্যাদি নিয়ে হাজারো আর্টিকেল লিখতে পারবেন। 

তাছাড়া বর্তমানে ছেলেরাও নিজেদের আউটলুক নিয়ে সচেতন হচ্ছে তারপরেও বিউটি টিপস ব্লগের বেশি ভিজিটর সিনারি শুধুমাত্র বিউটি টিপস বিশাল ইন্ডাস্ট্রিজ সিপিসি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং পেইড কাউন্সেলিং থেকে প্রচুর ইনকামের সুযোগ রয়েছে।

১৫. লাভজনক ব্লগ নিস - ট্যুর ও ট্রাভেল

ঘোরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে। এই জন্য দেখবেন বর্তমানে ইউটিউবে অনেক চ্যানেল রয়েছে যেখানে ট্রাভেলিং নিয়ে ভিডিও আপলোড করে।

আপনি চাইলে একটি টুর ও ট্রাভেল ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। যেখানে বিভিন্ন পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য যাতায়াত ব্যবস্থা আবাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবেন।

১৬. Blog niche - কৃষি ব্লগ

কৃষি ব্লগ করার জন্য অবশ্যই আপনার প্রাক্টিক্যাল ধারণা থাকতে হবে। বর্তমানে সবার হাতে মোবাইল ফোন থাকার জন্য যে কোন সমস্যায় গুগলের সার্চ করে। এখনকার সময়ে অনেক শিক্ষিত লোক 30 এর সাথে জড়িত হওয়ার কৃষি ব্লগ এখন খুবই জনপ্রিয় একটি টপিক এবং ভবিষ্যতেও জনপ্রিয়তা থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

ছাদ বাগান থেকে শুরু করে ফসল চাষ বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে একটি সুন্দর বেশি প্রয়োগ করতে পারলে বেশ সফল হতে পারবেন আশা করা যায়। বর্তমান সময়ে বাংলা কৃষি ব্লগ নিয়ে খুব কম সাইট রয়েছে তাই এর রেংক করার ভাল সম্ভাবনা থাকে। আপনি যদি কৃষির সাথে জড়িত থাকেন তবে আপনার অভিজ্ঞতা থেকে কৃষি ব্লগ শুরু করতে পারেন।

১৭. জনপ্রিয় ব্লগ তৈরির বিষয় - খাবার এবং রেসিপি

খাবার খেতে কে না পছন্দ করে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবেছেন এই বিষয়ে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করা যায়। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন খাবার রেসিপি শেয়ার করবেন। তবে অবশ্যই এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে। আপনি যদি খাবার খেতে ভালোবাসেন কিন্তু তৈরি করতে জানেন না, তাহলে ব্লক ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিজের ইচ্ছামত খাবার রেসিপি দিলে কোন কাজ হবে না।

যারা ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি তৈরি করতে ভালোবাসে তাদের জন্য এই নিস।

তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নিয়ে লেখালেখি শুরু করতে পারেন।

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল যে বিষয়টা আপনার ভালো লাগে ওই বিষয়ক ব্লগিং শুরু করেন। তাহলে আপনার কাজ করতে একটুও বোরিং ফিল হবে না আপনি আনন্দের সাথে কাজ করতে পারবেন।

Post a Comment

2 Comments